রেনেসাঁস বা পুনর্জাগরণ / নবজাগরণ (ফরাসি: Renaissance, ইতালীয়: Rinascimento) ছিল পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে সংঘটিত ইউরোপীয় ইতিহাসে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে পদার্পনের মধ্যবর্তী সময়। এটি মধ্যযুগের সংকটের পর ইতালির ফ্লোরেন্স নগরী থেকে সংঘটিত হয়ে ব্যাপক সামাজিক পরিবর্তন সাধিত করে। এটি দ্বারা সাংস্কৃতিক পর্যায়কেও বোঝানো হয়। এযুগের সময়কাল ছিল আনুমানিক ১৪০০ থেকে ১৬০০ শতাব্দী পর্যন্ত।
জেনে নিই
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লব হচ্ছে ইরানে সংঘটিত একটি যুগান্তকারী বিপ্লব যেটা ইরানকে শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলাভীর একনায়কতন্ত্র ও পাশ্চাত্যপন্থি দেশ হতে আয়াতুল্লাহ খোমেনির ইসলামিক প্রজাতান্ত্রিক দেশে পরিণত করে । একে বলা হয় রুশ ও ফরাসি বিপ্লবের পর ইতিহাসের তৃতীয় মহান বিপ্লব।
জেনে নিই
ইংল্যান্ডের শিল্প বিপ্লব ১৭৬০-১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দ এই সময়কালে কৃষি এবং বাণিজ্যিক ব্যবস্থা থেকে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে ধাবিত হওয়ায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর সমুদ্র যাত্রা বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পথ খুলে দেয়। এরপর পুঁজিবাদের উদ্ভব, বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার, কয়লার খনি আর ইস্পাতের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে অনেক শিল্প শহর আর কারখানা গড়ে উঠে।
জেনে নিই
আরব বসন্তের শুরু হয় ২০১০ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর তিউনিসিয়ার মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামে এক ফল বিক্রেতার পুলিশের দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতির মাধ্যমে বিদ্রোহ শুরু হয়। গণবিক্ষোভের শুরু তিউনিসিয়ায়, এরপর তা মিশরে, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে যায়। আরব বিশ্বের এই গনঅভ্যূত্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলো অস্ত্র সরবরাহ করে এবং সরাসরি আঘাত হেনে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রনায়কদের পতন ঘটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
জেনে নিই
১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জাপান চিনে আগ্রাসন চালায়। যুদ্ধে চীন মিত্রপক্ষে যোগ দিলেও যুদ্ধের পর তারা কোনো সুবিচার পায় নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশি আধিপত্যের বিরুদ্ধে চিনা জাতীয়তাবাদী জনগণ চেন-তু-শিউ এর নেতৃত্বে ১৯১৯ সালে ৪ ঠা মে পিকিং-এর এক আন্দোলনের ডাক দেয়। এই আন্দোলন চিনের ইতিহাসে ৪ঠা মে-র আন্দোলন তিয়েন-আন-মেন স্কোয়ার - এ নামে পরিচিত। ৪ঠা মে আন্দোলনের বিস্তৃতিকাল ছিল ১৯১৭ সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ইংরেজিতে এ আন্দোলন May Fourth Movement নামে পরিচিত।
১৭৮৯-১৭৯৯ সালের ফরাসি বিপ্লব, ইউরোপ এবং পশ্চিমা সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই বিপ্লবের সময় ফ্রান্সে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে প্রজাতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রা শুরু হয়, রোমান ক্যাথলিক চার্চ সকল গোঁড়ামী ত্যাগ করে নিজেকে পুনর্গঠন করতে বাধ্য হয়। ফরাসি বিপ্লবকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি জটিল সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যার মাধ্যমে পশ্চিমা সভ্যতা নিরঙ্কুশ রাজনীতি এবং অভিজাততন্ত্র থেকে নাগরিকত্বের যুগে পদার্পণ করে। এটি ইউরোপের প্রথম বুর্জোয়া বিপ্লব। ভলতেয়ার, রুশো প্রমুখ ছিলেন এই বিপ্লবের দার্শনিক অগ্রদূত। বুরবো বংশের রাজারা জনগণের উপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিলে থার্ড স্টেট বা সাধারণ জনগণ ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই প্যারিসের কুখ্যাত বাস্তিল দুর্গ (কারাগার) এবং সামন্ততন্ত্রের পতন ঘটায়। ১৭৯৩ সালে গিলোটিনে (মৃত্যুদন্ড কার্যকরের যন্ত্র) রাজা ষোড়শ লুই-এর শিরচ্ছেদ করা হয়। ১৮০৪ সালের ১৮ মে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ফ্রান্সের সম্রাটের আসন দখল করেন।
জেনে নিই
ফরাসি বিপ্লবের উপর ভিত্তি করে রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ:
১৯১৭ সালে সংগঠিত দুইটি বিপ্লবের মিলিত নাম রুশ বিপ্লব । সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্থান হয় এই বিপ্লবের মাধ্যমে এবং রাশিয়ায় জারতন্ত্রের শাসনের অবসান হয়। ১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিকোলাসকে উৎখাত করে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করে বলশেভিক (কমিউনিস্ট) সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জমিদারদের ৪০ কোটি একর বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। রুশ বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তৎকালিন রাজধানী পেট্রোগ্রাদ (সেইন্ট পিটার্সবার্গ)।
জেনে নিই
আরও দেখুন...